ছুটে চলেছে এক কিশোর- পৃথিবীকে উপহাস করে,
অট্টহাসিতে চারদিক কাঁপিয়ে,
শেকড় গজানো অসাড় মানুষগুলোকে তীব্র ভ্রুকুটি হেনে-
ছুটে চলেছে দোজখের আগুনে ।
দূরে বসে থেকে বড় বড় চোখ মেলে
তাকে দেখছে বোকা আজরাঈল ।
শান্তির দূত জিব্রাইল কান ফাটিয়ে চেঁচাচ্ছে-
“ফিরে এসো অবোধ কিশোর, শান্ত হও”
কিশোর তাকে ভেংচি কাটে-
“ঐ শান্তির কথা মুখে এনো না,
শান্তির সুবাতাসে আজ মায়ের ক্যান্সার,
শান্তির আগুনে পিছলে গিয়ে
ভাইটি মোর অচল অসাড়-
শান্তির ঐ ঝকঝকে মোড়কটা এখনই খুলে ফেল,
নইলে তোমার মুখে আমি অশান্তির এসিড ছুঁড়ব
বুঝবে তখন কত যুদ্ধে কত শান্তি”
কিশোরের রক্তলাল লোচন থেকে
বেরুচ্ছে দোজখের আগুনের বিষাক্ত কালো ধোঁয়া
কিশোরের সর্বাঙ্গে এখন আগুন-
দোজখের আগুন,
কিন্তু তার মুখে উপহাসে দ্রবীভূত গাঢ় হাসি
সে হাসির দমকে পৃথিবী কাঁপছে থরথর করে ।
প্রশ্নমাখা বোবা দৃষ্টি মেলে সর্বগ্রাসী ঈশ্বর দেখছে-
উচ্ছৃঙ্খল কিশোরটিকে ।
৩১-০৭-২০০৩
No comments:
Post a Comment